মারকাযুদ দুরুসের কানুন ও নিয়মনীতি


দারস সংক্রান্ত কানুন

  • সপ্তাহে ১ দিন ক্লাস বন্ধ থাকবে অর্থাৎ শুক্রবার (সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে)।
  • সোমবার দিনের বেলা ঘণ্টাব্যাপী দারসুল ইক্তিসাদিল ইসলামী ও রাতের বেলা সুওয়াল জাওয়াব অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানটি ক্লাসের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই অনুষ্ঠানে সকলকে উপস্থিত থাকতে হবে। 
  • প্রতিদিন ক্লাসের পুরো সময়টা সকলের জন্যে ক্লাসে উপস্থিত থাকা আবশ্যক। অনুপস্থিত থাকলে কারণ দর্শাতে হবে। 
  • ক্লাসের পূর্ণ সময় ভিডিও অন রাখতে হবে। তবে ওজর থাকলে অফ রাখা যাবে। 
  • প্রতিদিন হাজিরা হবে। ক্লাসে উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে পরীক্ষায় এক্সট্রা নাম্বার যোগ হবে। হাজিরায় উপস্থিতির উপর পুরস্কার থাকবে। 
  • ১২০ মিনিটের মধ্যে কমপক্ষে ৮০ মিনিট ক্লাসে উপস্থিত থাকলে হাজিরা বহাল থাকবে। অন্যথায় হাজিরা দিলেও সেটি গাইনে পরিণত হবে। 
  • দারসি কিতাবগুলোর হার্ড কপি যথাসম্ভব সংগ্রহ করে নিতে হবে। আসাতিজায়ে কিরাম পিডিএফ পড়া অপছন্দ ও অনুৎসাহিত করেন। মারকাযে যোগাযোগ করেও কিতাব সংগ্রহ করা যাবে।  
  • কোন ধরনের নোট অথবা সহায়ক গ্রন্থ নিয়ে ক্লাসে বসা নিষিদ্ধ। মূল কিতাবের হার্ড কপি বা পিডিএফ নিয়ে বসতে হবে। 
  • টানা দুই সপ্তাহ কোন শিক্ষার্থী গ্রহণযোগ্য ওজর ছাড়া ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে, তার ভর্তি বাতিল করত হাজিরা খাতা থেকে নাম কেটে দেয়া হবে।
  • ক্লাসে অবশ্যই কওমি মাদরাসার ড্রেস কোড (পাঞ্জাবি / জুব্বা, টুপি ইত্যাদি) পরে অংশগ্রহণ করতে হবে। 
  • ক্লাসে হাঁসি-তামাশা বা নিজেদের পারসোনাল আলাপচারিতায় লিপ্ত হওয়া যাবে না।
  • ক্লাস শুরু হওয়ার ১০ মিনিট পূর্বে ক্লাসের লিঙ্ক গ্রুপে দেয়া হবে। তৎক্ষণাৎ ক্লাসে জয়েন করে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। 
  • প্রতিদিনের ক্লাস ইউটিউবে লাইভ হবে। সারা বছর প্লেলিস্টের মাধ্যমে সকল সবক দেখা যাবে। 
  • প্রতিদিনের সবক প্রতিদিন ইয়াদ করা অত্যাবশ্যক। আসাতিজায়ে কিরাম সবক শুনে থাকেন।
  • প্রতিদিন সামনের পড়া মুতালাআ করে আসতে হবে। 
  • যখন যাকে সবক শোনাতে বা সামনে ইবারত পড়তে বলা হবে, তখন সে আদেশ পালনে বাধ্য থাকবে।
  • সরকারী ছুটির দিনগুলোতে ক্লাস বন্ধ থাকবে যদি তা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক না হয়। যেমন, জন্মাষ্টমীতে ক্লাস বন্ধ হবে না। 
  • প্রতিদিনের পড়া পরস্পর তাকরার করতে হবে। তাকরার করার জন্যে মারকাযের জুম অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে অথবা নিজেদের গ্রুপে গ্রুপ কল করে তাকরার করতে পারবে। 
  • আসাতিযায়ে কিরামকে হুজুর, উস্তাদজী, শাইখ, হযরতজি ইত্যাদি মুনাসিব শব্দে সম্বোধন করতে হবে। ভাই / জনাব ইত্যাদি সম্বোধন নিষিদ্ধ।
  • ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে জুম সফটওয়্যারের মাধ্যমে। গুগল প্লেস্টোর থেকে Zoom  নামের অ্যাপটি নামিয়ে নিয়ে একাউন্ট খুলে রাখতে হবে । জুম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই টিউটোরিয়ালটি দেখে নিন https://youtu.be/5VJJsrTtLy0

অনলাইন সংক্রান্ত কানুন

  • দাখেলাপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ফেসবুক-মেসেঞ্জারে একটিভ থাকতে হবে। 
  • মেসেঞ্জার গ্রুপগুলোতে প্রয়োজন ছাড়া কোন মেসেজ যেমন, লাইক, ইমুজি, কুশল বিনিময় বা সালামের জবাব ইত্যাদি দেয়া যাবে না। অর্থাৎ যে মেসেজটি সকলের জানা আবশ্যক, সে মেসেজটিই শুধুমাত্র দেয়া যাবে।
  • ভুলে মেসেজ চলে গেলে সাথে সাথে Remove>Unsend করে দিতে হবে। 
  • শিক্ষার্থীদের পরস্পর যোগাযোগ, কুশল বিনিময়, তাকরার ও এক্সট্রা আলোচনার জন্যে আলাদা মেসেঞ্জার গ্রুপ থাকবে। সেখানে কোন আসাতিযা থাকবেন না। 
  • তামরীন ও মুতালাআ সংক্রান্ত আলাদা ফেসবুক গ্রুপ থাকবে। তামরীন ও মুতালাআ যখন যেটা দেয়া হবে, সেটি যথাযথ আদায় করা সকলের জন্যে আবশ্যক। 
  • দারসের জন্য উপযুক্ত ডিভাইস (২ জিবি+ র‍্যাম ওয়ালা এন্ড্রয়েড মোবাইল বা পিসি/ল্যাপটপ) ও কমপক্ষে ২ এমবিপিএস নেট কানেকশন থাকতে হবে। 
  • প্রত্যেকের কাছে একটি মোবাইল স্ট্যান্ড ও ভালো মানের ব্রান্ডেড হেডফোন থাকা আবশ্যক।

পরীক্ষা সংক্রান্ত কানুন 

  • সকল পরীক্ষা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। যেভাবে ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়, সেভাবেই।
  • পরীক্ষার ফি প্রদান করার পর প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে। প্রবেশপত্র ছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ। 
  • পরীক্ষা চলাকালীন সকলের ভিডিও অন রাখা অত্যাবশ্যক। অন্যথায় পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাবে।
  • সারা বছর মূল ৩টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া এক বা একাধিক টেস্ট পরীক্ষা হওয়ারও সম্ভাবনা থাকবে।
  • ক্লাসে উপস্থিতি, টেস্ট ও মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ, পড়াশোনায় মনোযোগ ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে পরীক্ষার নাম্বার কমবেশ হতে পারে।
  • ইফতার সনদ পেতে হলে বার্ষিক পরীক্ষায় মুমতায, জাইয়িদ জিদ্দান অথবা সর্বনিম্ন জাইয়িদ হতে হবে। অন্যথায় সনদ স্থগিত থাকবে। 
  • সনদে পাশের বিভাগ উল্লেখ থাকবে। 
  • এক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলে পরবর্তী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উপযুক্ত বিবেচিত হবে না।
  • যেকোনো ২ কিতাবে ফেইল করলে (অর্থাৎ ৩৫ এর কম নাম্বার পেলে) পুরো পরীক্ষায় ফেইল বলে গণ্য হবে। এমনকি অন্য কিতাবে মুমতায নাম্বার পেলেও!
  • পরীক্ষা শুরুর আগেই ভালো মানের A4 সাইজের কাগজের শিট অথবা ভালো মানের রোল ছাড়া বাংলা খাতা ও পরীক্ষার কভার পেজ প্রস্তুত রাখতে হবে। কাভার পেজ লিংক – https://drive.google.com/file/d/16ny2H8hYmHrDbwNgg6qllDLVuF1R_eSR/view
  • প্রশ্নপত্র ১ম আধা ঘণ্টার ভেতরেই বুঝে নিতে হবে।
  • পরীক্ষা চলাকালীন কোন রকম এদিক সেদিক তাকানো, মোবাইলে বা সরাসরি কারো সাথে কথা বলা ও জুম থেকে বের হয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
  • কাভার পেজে স্পষ্ট অক্ষরে নাম ও রোল নাম্বার এবং প্রতিটি পৃষ্ঠায় ক্রমিক নং লিখতে হবে।
  • প্রশ্নপত্রে আবশ্যকীয় কোন প্রশ্ন থাকলে সেটার উত্তর বাধ্যতামূলক দিতে হবে। সেটি না দিয়ে অন্য ৩টি প্রশ্নের উত্তর লিখলেও ২টির নাম্বার মিলবে। কোন ওজর গ্রহণ করা হবে না। 
  • শেষ ঘণ্টা বাজার সাথে সাথে খাতা ভালো করে পিনাপ করে ছবি তুলতে হবে। এবং সাথে সাথেই সংশ্লিষ্ট উস্তাদজির ইনবক্সে ছবি জমা দিতে হবে। ছবি তুলে জমা দেয়ার পর খাতায় কোন রকম পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন গ্রহণযোগ্য নয়। একটি কমা পরিমাণ চেঞ্জ পাওয়া গেলেই খাতা বাতিল গণ্য হবে।
  • সবগুলো পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সকল খাতা একত্রে প্যাকেটে ভরে মারকাযের কার্যালয় বরাবর “আর্জেন্ট হোম ডেলিভারি” লিখে কুরিয়ার করতে হবে। আসাতিযায়ে কিরাম সরাসরি খাতা দেখে নাম্বার প্রদান করে থাকেন।
  • খাতা হাতে পেয়ে আসাতিজায়ে কিরাম প্রথমেই ইনবক্সের ছবির সাথে ফিজিক্যাল খাতা মিলিয়ে দেখবেন। কোন রকম অসামঞ্জস্য চোখে পড়লে খাতা বাতিল করা হবে। কোন ওজর গ্রহণযোগ্য হবে না। 
  • সমস্ত পরীক্ষার ফলাফল পোস্ট আকারে মারকাযের ওয়েবসাইটে পাবলিশ হবে।
  • বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল মারকাযের রেজাল্ট সফটওয়্যারে আপলোড করা হবে। সেখানে ব্যক্তিগত ফলাফল দেখা ও প্রিন্ট করার সুযোগ থাকবে। রেজাল্ট সিস্টেম লিংক – durus.us/result

তামরীনে ফাতাওয়া ও মুতালাআ সংক্রান্ত কানুন 

  • তামরীনে ফাতাওয়া ও মুতালাআ সংক্রান্ত সকল কথাবার্তার জন্যে পৃথক মেসেঞ্জার গ্রুপ থাকবে।
  • সারা বছর অন্তত ৫০টি তামরীন করার টার্গেট থাকতে হবে। কাজেই বছরের শুরু থেকে তামরীনে মনোযোগী হতে হবে।
  • এক সপ্তাহের তামরীন অন্য সপ্তাহে জমা দিলে নাম্বর কর্তন হবে। 
  • তামরীনের সমস্ত নিয়ম ক্লাসে পড়িয়ে দেয়া হবে। সবগুলো নিয়ম যথাযথ পালন করতে হবে। এ সংক্রান্ত পিডিএফটি মুখস্ত করে নিতে হবে। 
  • তামরীন-এর জন্য দারসের কিতাবাদি ছাড়াও ফাতওয়ার নির্ধারিত কিতাবসমূহ মুতালা‘আ করতে হবে।
  • তামরীন এর ছবি Doc Scanner অ্যাপ দিয়ে ছবি তুলে উস্তাদজির ইনবক্সে পাঠাতে হবে। 
  • সংশোধনীর পর ফাইনাল তামরীন A4 সাইজ কাগজে সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে হবে। 
  • পরীক্ষার সময় পরীক্ষার উত্তরপত্রের সাথে তামরীন ফাইনাল কপি পাঠিয়ে দিতে হবে। আসাতিজায়ে কিরাম তাসহীহ করে সাইন করবেন।  
  • প্রতিদিন যেটুকু মুতালাআর জন্যে নির্ধারণ করে দেয়া হবে, সবটুকু মুতালাআ করে উত্তরগুলো মুখস্ত করা আবশ্যক। পরীক্ষায় আসতে পারে। ক্লাসেও জিজ্ঞেস করা হতে পারে।
  • উস্তাদজি কর্তৃক নির্ধারিত অংশ ছাড়াও যখনই সময় সুযোগ হয়, মুতালাআয় মনোনিবেশ করতে হবে। 
  • মুতালাআ ও তামরীনের জন্যে দরকারি সকল কিতাব ওয়েবসাইটে রয়েছে। প্রয়োজনমত নামিয়ে নিতে হবে। লিংক – durus.us/books/ifta-kitab

সমাপনী অনুষ্ঠান সংক্রান্ত কানুন 

  • প্রতি শিক্ষাবর্ষ শেষে মারকাযুদ দুরুস একটি সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। সকল শিক্ষার্থীকে উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। 
  • অনুষ্ঠানটিতে দেশবরেণ্য উলামায়ে কিরাম তাশরীফ এনে থাকেন। 
  • মেহমানদের দুপুরে আপ্যায়নের ইন্তেজাম করা হয়। 
  • উক্ত অনুষ্ঠানে উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের ইফতা সনদ, মার্কশিট, পাগড়ি ও পুরস্কার প্রদান করা হবে। 
  • উল্লেখিত জিনিসগুলো সশরীরে অনুষ্ঠানে এসে গ্রহণ করতে হবে। প্রতিনিধি গ্রহণযোগ্য নয়। 
  • অনুষ্ঠানের পূর্বেই সবধরনের বকেয়া পরিশোধ অত্যাবশ্যক। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মারকাযের শিক্ষাসচিব অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র ইনবক্সে পাঠাবেন।
  • অনুষ্ঠানটি সাধারণত জোহরের পর থেকে শুরু হয়ে মাগরিব পর্যন্ত চলতে পারে। কাজেই সেভাবে সময় ও প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হবে। 
  • অনিবার্যকারণ বশত কেউ ঢাকায় আটকে গেলে মারকাযে আবাসন ব্যবস্থা থাকবে। 
  • অনুষ্ঠানটি মারকাযের প্রধান কার্যালয় ঢাকা মানিকনগরে অনুষ্ঠিত হবে।

বেতন সংক্রান্ত কানুন 

  • প্রতি মাসের ১-৫ তারিখের মধ্যে মাসিক বেতন পরিশোধ করতে হবে।
  • টাকা পাঠিয়ে ফরম পূরণ করতে পারেন অথবা হুজুরকে জানাতে পারেন। ফরম পূরণ করতে এই লিংকে যান 
  • টাকা পাঠিয়ে হুজুরকে মেসেজে জানানোর নমুনা – 👉 আমি আব্দুল্লাহ, রোল  ১০০, লাস্ট ৬৫৪৩২ নাম্বার থেকে মে মাসের ফী পাঠিয়েছি।” (টাকার অংক উল্লেখ করা যাবে না)
  • যেকোনো লেনদেনের একমাত্র নাম্বার 01710-70 95 98 । বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায়। পারসোনাল একাউন্ট কাজেই খরচসহ Send Money করতে হবে। 
  • ব্যাংক NPSB অথবা বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমেও বেতন পাঠানো যাবে। এই লিংকে বিস্তারিত তথ্য দেয়া আছে – durus.us/payment 
  • পেমেন্ট পাঠিয়ে হুজুরকে সরাসরি বা ওয়াটস্‌আপে কল করা যাবে না। শুধুমাত্র লিখে মেসেজ পাঠাবেন। তাহলে চেক করে জানাতে সুবিধা হয়।  
  • পেমেন্ট সংক্রান্ত সকল আপডেট জানানোর জন্যে নোটিশ নামে একটি গ্রুপ থাকবে।
  • টাকা পাঠানোর সাথে সাথে হুজুরকে যে নাম্বার থেকে পাঠিয়েছেন, সেটি জানাবেন। তিনি অবগত হবার সাথে সাথে ভ্যারিফাই করে রশিদ প্রদান করবেন। মেসেজ Seen করার আধা ঘণ্টার ভেতর রশিদ না দেয়া হলে সেক্ষেত্রে রশিদ অবশ্যই চেয়ে নিতে হবে। অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে ভুলে যাওয়া হতে পারে। 
  • রশিদ ছাড়া কোন লেনদেন করা হয় না। কাজেই রশিদ না দেখিয়ে পূর্বে টাকা পরিশোধের কথা বলা হলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না।  
  • যতদিন মারকাযের রেজিস্টারে নাম থাকবে, ততদিন বেতন গণনা হবে। কাজেই কোর্স কন্টিনিউ করতে না চাইলে রেজিস্টার থেকে নাম কাটিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় বেতন প্রদানে বাধ্য থাকবে। অপরিশোধে আপনার জিম্মায় এটি ঋণ হিসেবে থেকে যাবে।  
  • ক্লাসে অনুপস্থিতির উপর ভিত্তি করে বেতন কর্তন হয় না। কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমনটা করা হয় না। আবাসিক ছাত্রদের শুধু খাবারের খরচ কর্তন হয়। কোন শিক্ষার্থী সারা মাস কোন ক্লাস না করলেও বেতন প্রদানে বাধ্য থাকবে। ছুটির দিনগুলোতেও বেতন কর্তন হয় না। 
  • টানা ৩ মাস বেতন বকেয়া থাকলে ক্লাসের অনুমোদন স্থগিত থাকবে। এরপর পরিশোধ সাপেক্ষে পুনরায় ক্লাসের অনুমোদন মিলবে।
  • পরীক্ষার ফি প্রদান করা ছাড়া প্রবেশপত্র দেয়া হয় না। আর প্রবেশপত্র ছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না। 
  • বছর শেষে সমস্ত বকেয়া পরিশোধ সাপেক্ষে সমাপনি অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র দেয়া হবে। কাজেই প্রতি মাসের মুয়ামালা সময়মত ক্লিয়ার করা আবশ্যক। তাহলে বছরের শেষে সহজ হবে ইনশাআল্লাহ। 
  • অনলাইনে পরিশোধকৃত পেমেন্টের রশিদ টেক্সট বা ছবি আকারে দেয়া হয়। তবে অফলাইনে পেমেন্টের ক্ষেত্রে কাগুজে রশিদ প্রদান করা হবে। 

যেকোনো কানুন ও নীতিমালা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন এবং বাতিল করার পূর্ণ ক্ষমতা মারকায কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করেন।